আজ সোমবার , ১৫ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

শিক্ষিকাকে গণধর্ষণের পর হত্যা-ঘাতকদের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিতঃ ১২:২৬ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৯, ২০১৯ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫৮৬ বার

অনলাইন ডেস্কঃ চাঁদপুর শহরের ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তীকে ডিশ লাইনম্যান জামাল হোসেন ও মহাজন আনিছুর রহমান পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। গতকাল বিকালে শহরের ওয়্যারলেস মোড়ে পিবিআই চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল চাঞ্চল্যকর শিক্ষিকা হত্যার রহস্য ও তথ্য তুলে ধরেন। পুলিশ জানায়, গত ২১শে জুলাই দুপুরে শহরের ষোলঘর পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টারে সপরিবারে বসবাসকারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব সহকারী অলোক গোস্বামীর স্ত্রী শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তী (৪৫) কে ডিস লাইনম্যান জামাল হোসেন ও মহাজন আনিছুর রহমান ধর্ষণের পর ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় পরদিন শিক্ষিকার স্বামী অলোক গোস্বামী চাঁদপুর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনুপ চক্রবর্তী ২৪শে জুলাই রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জামাল হোসেনকে শহরের ষোলঘর হোটেল আল-রাশিদা এলাকায় তার বাসা থেকে এবং আনিছুর রহমানকে ষোলঘর পাকা মসজিদের বিপরীত সড়কের বাসা থেকে আটক করেন। এরপর ৪ঠা আগস্ট ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত কার্যক্রম পিবিআই কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হয়। পিবিআই পরিদর্শক মো. কবির আহমেদের নেতৃত্বে পিবিআই চাঁদপুরের একটি টিম গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের অনুমতিক্রমে দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জামাল ঘটনায় তার সক্রিয় সম্পৃক্ততা স্বীকার করে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন আসামি জামালের দেয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে বলেন, ঘটনার দিন দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে আনিছুর রহমান ও জামাল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক পাউবো’র ভিতরে পরিত্যক্ত ঘরে এসে দু’জনে ইয়াবা সেবন করে। তারপর দু’জনেই জয়ন্তী চক্রবর্তীর বাসায় যায়। নিচতলার সানশেডে উঠে জামাল ডিসের লাইন নাড়াচাড়া করলে জয়ন্তীর টিভি দেখায় সমস্যা দেখা দেয়। তখন তিনি বারান্দায় বেরিয়ে এসে অভিযুক্তদের টিভি দেখতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানালে তারা কৌশলে বাসায় প্রবেশ করার জন্য লাইন ঠিক করার কথা বলে বাসার নিচের গেটের চাবি নিচে ফেলতে বলে। জয়ন্তী চক্রবর্তী সরল বিশ্বাসে চাবি নিচে ফেললে প্রথমে আনিছ ও পরে জামাল বাসায় প্রবেশ করে। জয়ন্তীকে একা পেয়ে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আনিছ ধস্তাধস্তি শুরু করে। পরে জামালও ঘরে প্রবেশ করে দু’জনে মিলে টানাহেঁচড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে জয়ন্তী মেঝেতে পড়ে গেলে দু’জনে জাপটে ধরে একে অন্যের সহায়তায় মুখ চেপে ধরে প্রথমে আনিছ ও পরে জামাল পালাক্রমে জয়ন্তীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর জয়ন্তী হুমকি দেয় যে, এই ঘটনা লোকজনদের বলে দিবে। তখন তারা দু’জন ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় জাপটে ধরে ঘরের র‌্যাকে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে জামাল জয়ন্তীর গলা কেটে হত্যা করে। পরে আনিছ বাথরুম থেকে মগে করে পানি এনে রক্তমাখা ছুরিটি মরদেহের ওপর ধুয়ে ধর্ষণের আলামত বিনষ্টের উদ্দেশ্যে মরদেহের নিম্নাঙ্গের ওপর আরো পানি ঢালে এবং ছুরিটি পূর্বের স্থানে রেখে দেয়।

Shares