লিপস্টিকের লোভ দেখিয়ে দুই শিশুকে হত্যা! হত্যাকারী আটক
প্রকাশিতঃ ১:৫৩ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ০৯, ২০১৯ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫৮৯ বার
অনলাইন ডেস্কঃ ঘরে ডেকে প্রথমে শিশু দুটিকে নিজের স্ত্রীর লিপস্টিক দিয়ে সাজায় মোস্তফা। এরপর তারা দুইভাই মিলে ইয়াবা সেবন করে শিশু দুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু শিশু দুটির চিৎকারে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ফারিয়াকে গলাটিপে হত্যা করে আজিজুল ও নুসরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে মোস্তফা।
বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ উদ্দিন।
সোমবার রাতে ডেমরার কোনাপাড়ার শাহজালাল রোডের নাসিমা ভিলার নিচতলার একটি কক্ষ থেকে ফারিয়া ও নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ি ও ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামি মোস্তফা (২৮) ও আজিজুলকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডিসি ফরিদ উদ্দিন বলেন: লিপিস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার নাম করে শিশু দুটিকে প্রথমে বাসায় ডেকে আনা হয়। বিকৃত মানসিকতার উদ্দেশ্যে ভাই আজিজুল বাওনিয়াকে আগেই বাসায় খবর দিয়ে আনে মোস্তফা।
এরপর আজিজুল ও মোস্তফা ইয়াবা সেবন করে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে দেয়। শিশু দুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তারা চিৎকার করে। চিৎকারের এক পর্যায়ে ফারিয়াকে গলা টিপে হত্যা করে আজিজুল এবং নুশরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মোস্তফা।
হত্যার পর আজিজুল পালিয়ে যায় আর মোস্তফা দুই শিশুর মরদেহ নিয়ে বাসায় থাকে। এক পর্যায়ে সে খাটের নীচে মরদেহ রেখে দেয়।
মোস্তফার স্ত্রী সন্ধ্যার দিকে গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফিরলে স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পান। মেঝেতে শিশুদের সেন্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন টের পায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই মোস্তফা পালিয়ে যায়।
মোস্তফা সিরামিকের কারখানায় ও আজিজুল একটি বেকারীতে কাজ করতেন।
ডিসি ফরিদ বলেন, শিশুরা চিৎকার করলেও উচ্চস্বরে গান বাজানোর কারণে বাইরে কেউ শুনতে পায়নি। শিশু দুটি নার্সারীতে পড়তো। স্কুল শেষে এলাকায় দুজন ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময়ই তাদেরকে সাজিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে নেয় মোস্তফা।
ঘটনা পুর্ব পরিকল্পিত কি না জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন বলেন: মোস্তফা ফোন করে আগেই আজিজুলকে বাসায় ডেকে নেয়। তার মানে বোঝা যাচ্ছে এখানে পুর্ব কোনো পরিকল্পনা ছিল। তারা একে অপরের মামাতো-ফুফাত ভাই।
তিনি আরো বলেন: এটি বিকৃত মানসিকতা থেকে হচ্ছে। তাছাড়া মাদকাসক্ত এর বড় কারণ। আর যে সমস্ত জায়গায় এসব ঘটনা ঘটছে সেখানে অভিভাবকরা একটু কম সচেতন।
আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ ও আলামত সরবরাহ করে পুলিশ সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।