হালুয়াঘাটে ভাতার টাকা পেয়ে নুরজাহান বিবির মুখে হাসি
প্রকাশিতঃ ১:৫০ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪২৭ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ বহু প্রতীক্ষার পর ৯২ বছর বয়সে এসে বয়স্ক ভাতার টাকা পেয়ে মুখে হাসি ফুটলো নুরজাহান বিবির। মঙ্গলবার একসাথে তিনি ভাতা হিসেবে ৭৫০০ টাকা সোনালী ব্যাংক হালুয়াঘাট শাখা থেকে উত্তোলন করেন। তার মেয়ে সুরবানুকে সাথে নিয়ে টাকা উত্তোলনের পর টাকা হাতে নিয়ে বলেন, আমি অনেক খুশি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তার ভাতার ব্যবস্থা হয়েছে তাদের জন্যে দু’হাত তুলে দোয়া করেন তিনি। এখন একটু অতীতের দিকে যায়। প্রায় বছরখানেক পূর্বে যুবলীগ নেতা মোর্শেদ আলমের মাধ্যমে খবর পেয়ে গিয়েছিলাম নুরজাহানের বাসায়।গিয়ে দেখি অসুস্থ্য অবস্থায় বারান্দায় শুইয়ে আছেন তিনি। তার বিধবা মেয়ে সুরবানু তাকে দেখাশোনা করছেন।এ অবস্থায় প্রথম কথা বলতে চেষ্টা করি নুরজাহান বিবির সাথে।তার মুখের কথাগুলো ছিলো এইরকম।—–
হোন্ডার নিচে পইরা একটা পা ভাইংগা গেছে।উঠবার পায়না বাবা!আডাচাড়া(নড়াচঁড়া) করবার পায়না! মাইনসে টাইন্যা (টেনে) নিয়া গেলে যাইবার পাই! এক পোলা অসুখে মইরা গেছে! আরেক পুলা আছে সেও কঠিন অসুগে ঘরে পইরা আছে! মাইয়া একটা তার স্বামীও ফালাইয়া রাইখা গেছে।ঐ মাইয়াডাই আমারে দেহে। মাইয়াই তো খাইবার পায়না। আমারে কেমনে দেখবো। আমারে একটা কার্ড দিলাইননা। আইন্যেরা না দিলে দেখবো কেডা! বয়স অইছে। মইরা যামুগা।আজ সেহরির সময় হুডা করলা ভাঁজা দিয়া ভাত খাইছি।রোযা ভাংবার মন চাইনা। ভালাতো কিছু পাইনা! পুতেরইতো চলেনা, নইলেতো খাওন দিতই। হেই ঘরে পইরা আছে। চেয়ারম্যানের কাছে কয়বার গেলাম! দেয়না একপর্যায়ে ভাঙ্গা পা’টা দেখিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ে।