দাদা নেইতো দাদী আছে- ভোট দিব ধানের শীষে
প্রকাশিতঃ ১১:৫৩ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৬১০ বার
তোফাজ্জেল হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ বাউফল আসনে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মুখে দাদা নেইতো দাদী আছে এই শ্লোগান এখন সর্বত্র শুনা যাচ্ছে। দলের নেতাকর্মীরা মনে করেন মনোনয়নের পর উপজেলা বিএনপি এখন এ আসনটি পনুরুদ্ধারে একাট্রা হয়েছেন। তাই বিএনপির নমিনেশন পাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য মো.শহীদুল আলম তালুকদার যিনি এলাকায় সকলের কাছে দাদা হিসেবে অতি পরিচিত তাঁর মনোনয়নপত্র জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার বাছাইতে রবিবার আইনী জটিলতায় প্রাথমিক ভাবে বাতিল হলেও বিএনপির দ্বিতীয় অপশনে মনোনয়ন পাওয়া শহীদুল আলম এর সহধর্মীনি সালমা আলম এর মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় নেতাকর্মীরা এখন নতুন করে ওই শ্লোগান নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছে। এ শ্লোগানটি এখন ব্যাপক ঝড় তুলেছে নির্বাচনি পালে।
আওয়ামী লীগের এ দূর্গে তালুকদারের মজবুত অবস্থান খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর পর্যন্ত তিনি এলাকায় রাজনীতি করছেন, রয়েছে ব্যক্তি জনপ্রিয়তা, আঞ্চলিকতার ভোটেও। স্বামী শহিদুলের ওই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারেন সালমা আলম। এমনটাই আভাস পাচ্ছেন এলাকার ভোটারেরা।
কালাইয়া ইউনিয়নের মো. মফিদুল ইসলাম হাওলাদার নামের ওই এলাকার এক আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, ‘আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। ওই দলের সাথেই আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। তালুকদারে হইলে ভোটের ব্যবধান কম বেশীর বিষয়টি দ্বারায়। তাতে কোন সমস্যা নাই আওয়ামী লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে তাই আমাদের বিজয় সুনিশ্চত।’ একই এলাকার বিএনপি কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আলম দাদায়(তালুকদার)প্রার্থী হইলে ভাল, সে বাদ পড়লে তাঁর স্ত্রী সালমা ভাবি হলেও আমারাই জিতবো।’ সাইদুর রহমান মৃধা নামের ওই এলাকার আরেক বিএনপি কর্মী বলেন, ‘আমাদের এই দুইজন (শহীদুল আলম তালুকদার এবং তাঁর স্ত্রী সালমা আলম) প্রার্থীই এ বছর অনেক ভাল হয়েছে। দল নমিনেশনে ভুল করেনি। আওয়ামী লীগ প্রশাসন দ্বারা ধরণের কারচুপি না করলে আমাদের বিজয় ঠেকানো যাবে না। এ বিজয়ের মাধ্যমে নেত্রীকে জেল থেকে মুক্ত করব।