আজ রবিবার , ১৪ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

হালুয়াঘাটের ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ৫ দুঃখী পেল ভাতার কার্ড

প্রকাশিতঃ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৫, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫১৯ বার

ওমর ফারুক সুমন, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) থেকেঃ
গত ১৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক মানবজমিনে; দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন, বিভিন্ন জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপেপারে “বয়স নব্বই পার হলেও হালুয়াঘাটে ১২ টি পরিবারের ভাগ্যে জুটেনি কার্ড” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন সেই অসহায় ৫ জনের জন্যে বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করেন। যাদের বয়স ৯০ পার হয়েছে অনেক আগেই। এই পাঁচজন হলেন, ৩নং কৈচাপুর ইউনিয়নের দর্শারপাড় গ্রামের নুরজাহান বিবি, ৯নং ধারা ইউনিয়নের হাইছু সেক, ২নং জুগলী ইউনিয়নের রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামের সূর্যবানু, আব্দুল মজিদ ও আবেদ আলী।
যারা নিতান্তই গরীব ও অসহায়। কারও বয়স একশ ছুঁই ছুঁই হলেও তাদের ভাগ্যে জুটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড! হাইসু সেক (৯৬), ৯২ বছর বয়সেও অভাবের তাড়নায় ঠেঁলাগাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। নুরজাহান বিবি (৯৬), দর্শারপাড় বাজার সংলগ্ন। কোন ছেলে সন্তান জীবিত নেই। দুই সন্তান ছিলো, তারা অসুখে মারা যায়। সে অসুস্থ্য হয়ে ঘরে পড়ে আছে। আব্দুল মজিদ (৯২), ঠিকানাঃ রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামে, পেশায় ভিক্ষুক। রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামের সূর্যবানু (৯৮), বয়স ৯৮ বছর হলেও সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। কোন পুত্র সন্তান নেই সূর্যবানুর। কানে শুনতে পায়না। জীবন চলে অনেক কষ্টে। অপরদিকে আবেদ আলী (৮২), তিনিও রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও এতদিন ভাতা হয়নি আবাদ আলীর। অবশেষে নির্বাহী অফিসারের সরাসরি তত্বাবধানে এই পাঁচজনের নামে বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করায় এরা খুবই খুশি হয়েছেন বলে জানা যায়। মরার আগে বয়স্ক ভাতার কার্ডের শেষ ইচ্ছেটুকু ছিল এই অসহায় মানুষগুলির। ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, আপাতত ৫ জনের কার্ড হয়েছে। বাকীদেরকেও দেয়া হবে।

Shares