আজ শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

১৯ ফুট উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে ইন্দোনেশিয়ায় কিভাবে মারা গেল ১৩শ মানুষ

প্রকাশিতঃ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৩, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৯৭২ বার

অনলাইন ডেস্কঃ ইন্দোনেশিয়ার পালুতে আঘাত হানা সুনামির ঢেউ ছিল ৬ মিটার বা প্রায় সাড়ে ১৯ ফুট উঁচু। ভূ-প্রাকৃতিকভাবে ইন্দোনেশিয়া এমন একটি দেশ যেখানে ভুমিকম্প প্রায় প্রতিদিনই হয়, কিন্তু পালুতে ভুমিকম্প থেকে এত বড় ঢেউ সৃষ্টি হলো কেন – তা স্থানীয় লোকদের তো বটেই এমনকি বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।

এই সুনামির আঘাতে পালু শহরের ১৩০০-র বেশি লোক নিহত হয়েছে এখন পর্যন্ত।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৭.৫ মাত্রার যে ভুমিকম্পটি হয়েছে তা থেকে এমন ভয়ঙ্কর সুনামি হবে – তা অনেকেই ভাবতে পারেনি। এর পেছনে কাজ করেছে পালুর ভৌগোলিক অবস্থান, সময়, আর দুর্বল পূর্ব- সতর্কীকরণ ব্যবস্থা।

একটা নির্দিষ্ট মাত্রার ভুমিকম্প হলে কী হতে পারে, কতটা ক্ষতি হতে পারে – তা নানা রকমভাবে অনুমান করা যায়। পালুর ক্ষেত্রে যা হয়েছে – বিজ্ঞানীরা বলছেন, সবচেয়ে খারাপ যা হতে পারে ঠিক সেটাই হয়েছে।

কি ঘটছিল সেদিন?
বিজ্ঞানীরা এখন পুরো দিনের ঘটনার একটা চিত্র তুলে ধরছেন। শুক্রবার পুরো দিন ধরেই ছোট ছোট ভুমিকম্প হচ্ছিল। কিন্তু সন্ধ্যের দিকে হঠাৎ একটা গুরুতর ঘটনা ঘটে।

মাটির ৬ মাইল নিচে ভূ-স্তরের যে টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থল – যাকে বলে পালু-কোরু ফল্ট – আকস্মিকভাবে পিছলে যায়। এই জায়গাটা পালু উপকুলের অল্প দূরেই।

ভূস্তরের এই বিশেষ ফাটলটি নিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে গবেষণা করছেন বান্দুং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির হামজা লতিফ।

তিনি বলছিলেন, পারু শহরটি গড়ে উঠেছে পলিমাটির পুরু স্তরের ওপর। আর ভূমিকম্পের আঘাতে পাথুরে মাটি যতটা নড়ে, তার চাইতে পলিমাটি নড়াচড়া করে অনেক বেশি। তাই এর ওপর তৈরি করা খুব কম ইমারতই সেই আলোড়ন সহ্য করতে পারে।

কিভাবে এত বড় সুনামির ঢেউ সৃষ্টি হলো – তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা

এত বড় ঢেউ আসবে কেউ ভাবেনি
যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ হায়দারজাদেহ বলছিলেন, “আমার হিসেবে পালুতে সমুদ্রের তলদেশে বিকৃতি (ডিফরমেশন) ঘটেছে ৪৯ সেন্টিমিটার।এতে সুনামির ঢেউ এক মিটারেরও কম উঁচু হবার কথা। ৬ মিটার হবার কথা নয়। কাজেই অন্য কিছু একটা ঘটেছে।”

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ফিলিপ লিউ লি-ফ্যান বলছিলেন, “পালু-কোরু ফল্ট লাইন নিয়ে আমরা খুব বেশি ভাবতাম না -কারণ এখানে টেকটোনিক প্লেট দুটো নড়াচড়া করে ডাইনে-বাঁয়ে, ওপরে-নিচে নয় – তাই বিপজ্জনক ঢেউ সৃষ্টি হবার ঝুঁকি কম।”

কিন্তু এবার ঠিক তাই হয়েছে। কেন হলো?

“আমরা বের করার চেষ্টা করছি কী ঘটেছে। হতে পারে যে ভূমিকম্পের ফলে হয়তো সাগরের তলদেশে একটা ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছিল, অথবা ফল্ট-লাইনটাও অন্যরকম আচরণ করে থাকতে পারে – আমরা এখনো জানি না” – বলছিলেন অধ্যাপক লি-ফ্যান।

করার কিছুই ছিল না
সুনামি যখন সৃষ্টি হলো – তখন সরু একটা ১০ কিলোমিটার লম্বা উপসাগরের এক মাথায় গড়ে ওঠা পালু শহরের বাঁচার কোন সুযোগ ছিল না।

মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে পালুতে আঘাত হানলো তিন-তিনটি ঢেউ। যেহেতু উপসাগরটা সরু, তার ওপর ঘোড়ার খুরের আকৃতির – তাই ঢেউগুলো ক্রমাগত বড় হচ্ছিল, আর দু পাশের তীরে আঘাত হানতে হানতে এগুচ্ছিল।

লতিফ বলছিলেন, পালুতে আগেও সুনামি হয়েছে। ১৯২৭ সালে একটা সুনামি হয় যখন উপসাগরের মুখে ঢেউটা ছিল ৩ থেকে ৪ মিটার উঁচু।

কিন্তু পালুর উপকুলে পৌঁছানোর সময় তা বেড়ে ৮ মিটার অর্থাৎ প্রায় ২৫ ফিট উঁচু হয়ে যায়।

সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা কাজ করেনি
২০০৪ সালে সুনামিতে মারা গিয়েছিলেন আড়াই লক্ষ লোক। এর পর পুরো অঞ্চল জুড়ে সুনামির আগাম সতর্কতার জন্য বহু সেন্সর বসানো হয়। কিন্তু প্রফেসর লিউ বলছেন, এ ব্যবস্থা কাজ করেনি। আসলে ২০১২ সাল থেকেই অনেকগুলো সেন্সর নষ্ট হয়ে পড়েছিল।সূত্র: বিবিসি বাংলা

Shares