অভাবের যাঁতাকলে নিস্পেষিত হালুয়াঘাটের ১২টি পরিবার
প্রকাশিতঃ ৫:০৬ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৫৯ বার
ওমর ফারুক সুমন, হালুয়াঘাট:
ছবিতে হালুয়াঘাট উপজেলায় অবস্থিত ১২টি পরিবারের কথা বলা হয়েছে। যারা নিতান্তই গরীব ও অসহায়। কারও বয়স একশ ছুঁই ছুঁই হলেও তাদের ভাগ্যে জুটেনি এখনো বয়স্ক ভাতার কার্ড! প্রতিবন্ধী হয়েও পাচ্ছেনা ভাতা! ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদেরসাথে কথা বলে ধারাবাহিকভাবে ১২ টি পরিবারের সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো। ১। হাইসু সেক (৯৬), এই বয়সেও অভাবের তাড়নায় ঠেঁলাগাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভাতার কার্ড হয়নি হাইছুর। ২।নুরজাহান বিবি (৯৬), দর্শারপাড় বাজার সংলগ্ন। কোন ছেলে সন্তান জীবিত নেই। দুই সন্তান ছিলো, তারা অসুখে মারা যায়। বয়স ৯৬ বছর হলেও পাননি বয়স্ক ভাতা! নুরজাহান মরার আগে একটি কার্ড দাবী করেন ৩। ময়মনা খাতুন (৭৬), রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামে খাস জমিতে বসবাস করেন। তার অভিযোগ, ভাতা চেয়েও পাননি। ৪। বাহিরশিমুল গ্রামের সাবজান বিবি (৯৬), এই বয়সেও ভিক্ষা করেন। একটি ভাতার কার্ড হলেও জীবন কাটে খুবই কষ্টের। ভিক্ষুক পুনর্বাসন চান তিনি ৫। ছোটদাস পাড়া গ্রামের বাইট্টা জলিলের পরিবারের আট প্রতিবন্ধী, দুজন প্রতিবন্ধী ভাতা পায়, বাকীদের জীবন চলে কষ্টে। একটি সরকারী ঘরের দাবী জানান। ৬। আব্দুল মজিদ (৯২), ঠিকানাঃ রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামে, পেশায় ভিক্ষুক। একটি ভাতার কার্ড হয়নি তার। বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্যে আকুতি জানান। ৭।রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামের সূর্যবানু (৯৮), বয়স ৯৮ বছর হলেও সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। হয়নি বয়স্ক ভাতার কার্ড! কোন পুত্র সন্তান নেই সূর্যবানুর। কানে শুনতে পায়না। জীবন চলে অনেক কষ্টে ৮।রমিজা খাতুন (৭৫), ঠিকানাঃ মনিকুড়া, স্বামী মুক্তিযোদ্ধা থাকা সত্ত্বেও কপালে জুটেনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা! বোতল টুকিয়ে সংসার চালায় ৯।মনিকুড়া গ্রামের অন্ধ প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক তরিকুলের পরিবার। ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভিক্ষা করে জীবন চালাতে হয় তার। ভাতার কার্ড হলেও সহযোগীতা চান তিনি। ১০। মনিকুড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী তিন সন্তানসহ প্যারালাইসিস রোগী মুর্শিদ (৫৫), জায়গা জমি নেই। একজন ভাতা প্রাপ্ত হলেও বাকী তিন প্রতিবন্ধী শিশুর ভাতা নেই। ১১। আবেদ আলী (৮২), রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও ভাতা হচ্ছেনা আবাদ আলীর। ভাতার দাবী করেন তিনি। ১২। বাহিরশিমুল গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী রাশিদা আক্তার (১৬), তার পিতা মোতাহার দাবী করেন, ১২ বৎসর যাবৎ এই মেয়েকে নিয়ে কষ্ট করে চলছেন। প্রতিবন্ধী ভাতার জন্যে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কেউ দেয়নি করে ভাতার কার্ড এমনটাই অভিযোগ করেন।