হালুয়াঘাটের কিডনী রোগে আক্রান্ত মেধাবী কলেজ ছাত্রী ‘সাথী’ আর নেই
প্রকাশিতঃ ৭:৩২ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১,১০৮ বার
ওমর ফারুক সুমনঃ সাড়ে চার বৎসরের অধিক সময় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শেষ বিদায় নিল মেধাবী কলেজ শিক্ষার্থী “শিরিন নাহার সাথী”।বুধবার সকাল সাতটার সময় উত্তর খয়রাকুড়িস্থ (থানার দক্ষিনে) নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাথী। অনেক শান্ত-ভদ্র-বিনয়ী ছিলেন মেয়েটি। দেখতে ছিলেন খুবই সুশ্রী।সকলের প্রিয় পাত্র ছিলেন।তার এক ছোট বোন কন্ঠশিল্পী সুমাইয়া আক্তার কাকলী। বাবা সিরাজুল ইসলাম একজন গাড়ী চালক। অনেক স্বপ্ন দেখতেন মেয়েটিকে নিয়ে। কিন্তু বিধির লীলায় সকলের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে পরকালের দেশে চলে গেলেন ফুটফুটে মেয়েটি। সাথী’র অকাল মৃত্যুতে হালুয়াঘাটের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। সেই সাথে সাথীর পরিবার হারায় একটি তাঁজা প্রাণ। সাথী হালুয়াঘাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের স্নাতক বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এক পর্যায়ে ডাক্তারী পরীক্ষা করে জানতে পারেন তার দুইটি কিডনি বিকল হয়ে যায়। সাথীর এই দূরারোগ্য ব্যাধীতে অনেকেই সাহায্য সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছিলেন। কন্ঠশিল্প রিংকু সংগিত পরিবেশন করে সমস্ত টাকা সাথীর চিকিৎসা কাজে ব্যয় করেন। আপামর সকল শ্রেণীর মানুষ সাহায্যে এগিয়ে আসেন।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। সকলের মনে দাগ কেটে বিদায় নেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ২৩ বৎসর। সে হালুয়াঘাট আদর্শ মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এইচ এস সি পাশ করেন। এই্চ এস সি পাশ করার পর স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তির বছর দুই পরেই দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন সাথী। তার দুটি কিডনীই বিকল হয়ে যায়। এ অবস্থায় সাথীর পরিবার কিডনী ইন্সটিটিউটের তত্বাবধানে দীর্ঘ সাড়ে চার বছরে মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলতে ২০-২৫ লক্ষ টাকা খরচ করেন।শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে পরাজিত হন মেধাবী এই শিক্ষার্থী।