পাবনার নারী সাংবাদিক হত্যায় আনন্দ টিভির এমডি’র তীব্র নিন্দা
প্রকাশিতঃ ১১:৫২ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৯, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৪০ বার
ওমর ফারুক সুমন, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহঃ
বেসরকারি টেলিভিশন আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদীকে হত্যার প্রতিবাদে নিন্দা ও নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন আনন্দ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাসান তৌফিক আব্বাস। শুধু তাই নয়, নিন্দা প্রস্তাবের পাশাপাশি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আনন্দ টিভি ভবনের সামনে মানববন্ধনেও অংশ নিতে দেখা যায়। এ নৃশংস হত্যাকান্ডে সারাদেশে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ আনন্দ টিভি পরিবারের সদস্যের নিহতের প্রতিবাদ জানানোয় তাদেরকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেন তিনি। গত মঙ্গলবার রাতে খুন হন আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি।
জানা যায়, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নিহত সুবর্ণা আক্তার নদীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় শিল্পপতি আবুল হোসেন, তার ছেলে রাজিব ও রাজিবের সহকারী মিলনসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনকে (৬০) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নিহত নদীর ২য় স্বামী রাজিবের বাবা।
নিহত নদীর স্বজনরা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে গ্রেফতার আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেনের সঙ্গে সুবর্ণা আক্তার নদীর বিয়ে হয়। বিয়ের বিষয়টি আবুল হোসেনের পরিবার মেনে না নেয়ায় এক পর্যায়ে রাজিব নদীকে তালাক দেয়। এ ঘটনায় নদী আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারধীন রয়েছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুবর্ণা আক্তার নদী শহর থেকে কাজ শেষে রাধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুল সংলগ্ন বাসার সামনে পৌঁছামাত্র ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।