শেষ মুহূর্তের জমজমাট পশুর হাট
প্রকাশিতঃ ৪:৪০ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪০৩ বার
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাত পোহালেই কুরবানির ঈদ । সে হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) কুরবানির হাটেরও শেষ দিন । ফলে শেষ মুহূর্তে বেচাকেনায় জমে উঠেছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় ও স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী। ভোর থেকেই ক্রেতারা হাজির হয়েছেন হাটে। দুপুর গড়াতেই ধুম পড়েছে বেচাকেনায়।
তবে সপ্তাহ ধরে পশুর দাম চড়া থাকলেও শেষ মুহুতে এসে গরুর দাম কিছুটা কমেছে। আর বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণ।
বৃষ্টি আর রোদ উপেক্ষা করে ঢাকার সবগুলো পশুর বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। সেই থেকে পক্ষে ক্রেতাদের ফেরত দিচ্ছে না বিক্রেতারাও। সব মিলিয়ে আজ ঢাকাসহ সারা দেশে পশুর হাট জমজমাট।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি পশুর হাটেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বাজারগুলো কুরবানির পশুতে কানায় কানায় ভরা। উত্তরবঙ্গসহ সারা দেশ থেকে আসা প্রচুর গরু এখন ঢাকার অলিগলিতে। ট্রাক ভরে এখনও গরু ও ছাগল আসছে। অবশ্য গরুর সংখ্যাই বেশি।
গত কয়েকদিন ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দর-কষাকষির চিত্র বেশি দেখা গেলেও আজ তা হচ্ছে না। নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পশু কেনাবেচার চেষ্টা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই। ক্রেতারা দেখে-শুনে পছন্দের গরুটির দরদাম করছেন। পছন্দ হলে মূল্য ও হাসিল পরিশোধ করে খুশিমনে পশু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। যদিও সোমবার (২০ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত ক্রেতাদের অধিকাংশ সময় দরদাম করতেই দেখা গেছে, বিক্রেতারাও চেষ্টা করেছেন ক্রেতাদের একটু বাজিয়ে নিতে।
সোমবার থেকে গরু বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। সকাল থেকে ক্রেতাও ছিল। বিকেলের দিকে বেচাবিক্রি কম হলেও সন্ধ্যার পর বাড়ে। তবে আজ সকাল থেকে বাজারে প্রচুর ক্রেতার সমাগম ঘটছে। বেচাবিক্রিও আগের কয়েক দিনের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। যেহেতু সময় বেশি বাকি নেই তাই আজ খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। এবার কুরবানির আগে সনাতন ধর্মালম্বীদের মনসা পুজা থাকায় ছাগালের বাজার একটু আগে ভাগে জমেছে।
জামালপুর থেকে গরু নিয়ে আসা নিজাম বলেন, আমাদের প্রত্যাশা মতো বিক্রি এখনও করতে পারিনি।ভাবছি আজ বিকাল পর্যন্ত দেখবো পরে দিন শেষের আগেই গরু গুলো ছেড়ে দেব। পশুর লালন-পালন খরচ বেড়েছে। পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাই দামও একটু বেশি। পোষানোর মতো দাম পেলেই হবে। আজ বিক্রি না করলে এ গরু দিয়ে কী করবো। বেশি অপেক্ষা করতে গেলে লোকশানে পড়তে হবে।
কোরবানির পশু কিনতে আসেন স্বপরিবারে ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত দাম ছিল খুবই বেশি। তাতে মনে হয়েছিল এ বছর কুরবারি দিতে পারবো না। হয়তো ছাগল কুরবানি দিতে হবে। কিন্তু আজ দাম দেখছি কিছুটা কম।
তিনি আরও বলেন আমার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যে বছর শুরুতে গরুর দাম বেশি থাকে সে বছর শেষের দিকে গরুর দাম কমে যায়। এ বছরও মনে হচ্ছে এর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। কারন হিসেবে তিনি বলেন, দাম বেশি থাকলেই ভারত থেকে লাখ লাখ গরু প্রবেশ করে অবৈধ পথে। এতে করে দেশি গরুর চাহিদা কমে যায়। ফলে অতিদ্রুত দাম কমে যায়।
হাটের ইজারাদার লুৎফর রহমান বলেন, এ হাটে প্রায় চার লাখ পশু ঊঠেছে। সব পশুই বিক্রি হবে। শুরুর দিকে দাম একটু বেশি হাকলেও আজ দাম অনেক কমেছে। এতে করে বিক্রিও অনেক বেড়েছে। সারা রাত পশু বিক্রি হবে। ব্যাপক নিরাপত্তা রয়েছে। গরুর নিয়ে বাড়ি ফিরতে কোন অসুবিধা হবে না।