আজ শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা হালুয়াঘাট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে হাঁস-মুরগি বিতরণ ইশ্বরগঞ্জে বালু শ্রমিক আজিজুল হত্যার আসামী মাখন আটক শিক্ষার্থীদের বেতন অর্ধেক করে দিতে হবে-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে তেলের দোকানে অগ্নিকান্ড ম্যানেজিং কমিটির, সভাপতির পক্ষ থেকে জিপিএ-৫ পেলেই মিলবে ল্যাপটপ! হালুয়াঘাটে যুগান্তর স্বজন সমাবেশে কেক কাটলেন এমপি ‘সায়েম’ শিক্ষার্থীদেরকে নীতিকথা শোনাতে হবে- ইউএনও নালিতাবাড়ী নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আসছেন ‘হাজী মোশারফ’ নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ‘হাজী মোশারফ ‘ নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হতে চান “হাজী মোশারফ”

জহিরের পুরো পরিবারই ইয়াবা বেচে

প্রকাশিতঃ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৬, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৬৫ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলম নামের এক মিয়ানমারের নাগরিক কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবার চালান নিয়ে আসা ও আর্থিক লেনদেনের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। আর তিনি নিয়মিত আসা যাওয়ার কারণে টেকনাফ এলাকায় তাঁর নাম ‘বার্মাইয়া আলম’।

টেকনাফের অন্যতম তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী জহির আহমেদ ওরফে মৌলভী জহিরসহ ছয়জনকে আটকের পর তাঁদের কাছ বেরিয়ে আসে বার্মাইয়া আলমের নাম। তাদের রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে দুই লাখ সাত হাজার ইয়াবা ও সাড়ে ১৬ লাখ টাকাসহ আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

মুফতি মাহমুদ খান জানান, সকালে র‍্যাব ২-এর একটি আভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অভিযান চালায়। সেখানের দুটি বাসায় রক্ষিত অবস্থায় দুই লাখ সাত হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য সাত কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এ সময় নগদ ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।

এ সময় আটক করা হয় ফয়সাল আহমেদ (৩১), মিরাজ উদ্দিন নিশান (২১), তৌফিকুল ইসলাম ওরফে সানি (২১) ও সঞ্জয় হালদারকে (২০)। পরে জিজ্ঞাসাবাদের তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এফিফ্যান্ট রোডের আরেকটি বাসা থেকে এই চক্রের মূল ব্যক্তি জহির আহম্মেদ ওরফে মৌলভী জহির (৬০), মমিনুল আলম মোমিনকে (৩০) আটক করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান জানান, মৌলভী জহির প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে টেকনাফে সিএনএফ এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করেন। আর সেই সুবাদে তিনি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। জহিরের স্ত্রী, কন্যা, জামাতা থেকে শুরু করে পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলেও জানান তিনি।

জিজ্ঞাবাদে জহির আহমেদ র‍্যাবকে জানিয়েছেন, এ ধরনের বড় বড় ইয়াবার চালান তিনি ও তার লোকজন বার্মাইয়া আলমের কাছ থেকেই সংগ্রহ করতেন। এরপর তাঁর জামাতা আবদুল আমিন, নুরুল আমিন ও আটক মোমিন টেকনাফ এবং কক্সবাজার হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। এ ক্ষেত্রে তারা বিলাসবহুল বাস ও কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করতেন।

র‍্যাব পরিচালক জানান, বার্মাইয়া আলম মিয়ানমারের নাগরিক হলেও টেকনাফে তার বাড়ি রয়েছে। তিনি ওই এলাকায় বহু বছর আগে থেকেই আসা-যাওয়া করেন। বার্মাইয়া আলমের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অচিরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলেও জানান মুফতি মাহমুদ।

Shares