আজ মঙ্গলবার , ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

ঈদুল আজহা আসতে না আসতেই উত্তপ্ত মসলার বাজার

প্রকাশিতঃ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৬, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৮৫৯ বার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহার দিন আসতে আর কিছু দিন বাকি মাত্র। আর এ উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ঝাঁজটা একটু বেশিই। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এক মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রকারের মসলার দাম কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

প্রতি বছরই ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে বাড়ে মাংসের মসলার দাম, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অতিরিক্ত চাহিদা, পণ্য খালাসে বিলম্ব, ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে মসলার বাজারে এ প্রভাব পড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, ঈদ সামনে রেখে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা বেড়ে যায়। মূলত রমজানের পরই সব ধরনের মসলার দাম বাড়তে শুরু করে। তবে কোরবানির ঈদের আগে এর প্রভাবটা একটু বেশিই থাকে। এবার কেজিপ্রতি (মান ভেদে) এলাচের দাম এক হাজার ৯০০ থেকে দুই হাজার টাকা। যা ১৫ দিন আগেও ছিল এক হাজার ৭৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা।

একইভাবে বাজারে ভারত থেকে আসা জিরার দাম ছিল কেজিপ্রতি ২৮৩ থেকে ২৯৭ টাকা। বর্তমানে এটা ৩৩৫ টাকা। সিরিয়া থেকে আমদানি করা জিরার কেজি ছিল ৩৯০ টাকা, বর্তমানে কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকা দরে চীন থেকে আমদানি করা জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ টাকায়। আর ১১০ টাকা কেজির মিষ্টি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।

এদিকে, বাজারে ঈদের আগে দারুচিনির দাম কেজিপ্রতি ছিল কেজি ২৬৮ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। দারুচিনি আমদানি হয় চীন ও ভিয়েতনাম থেকে। বাজারে প্রতি কেজি জয়ফলের দাম ছিল ৫৫০ টাকা, বর্তমানে এই দাম দাঁড়িয়েছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। এটি আমদানি হয় শ্রীলঙ্কা ও ভারত থেকে।

লবঙ্গ আমদানি হয় ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার ও ব্রাজিল থেকে। বাজারে প্রতি কেজি লবঙ্গ মান ভেদে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা । যা আগে বিক্রি হয়েছিল ১,২০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত। লবঙ্গ দামই কেবল স্বস্তির মধ্যে আছে। বাজারে গোলমরিচ (কালো) কেজিপ্রতি ৯৫০ টাকা, গোলমরিচ (সাদা) এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে কেজি প্রতি হাজার টাকার বেশি ছিল না।

এ ছাড়া বাজারে বাড়তি দামে জয়ত্রী দুই হাজার ১০০, ধনিয়া ১০০ থেকে ১২০, ভারতীয় হলুদ ২১৫, ভারতীয় মরিচ ১৫০, দেশি শুকনা মরিচ ১৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর দেশীয় জিরা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, কাঠবাদাম, পোস্তদানা, ধনিয়া, আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ সব মসলার দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, দেশি রসুনের কেজি মানভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, শুকনা মরিচ ও হলুদ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২১০ টাকা।

কাওরান বাজার কিচেন মার্কেটের উপহার স্টোরের দোকানি মোহাম্মদ চুন্নু বলেন, ঈদে চাহিদা বেশি থাকায় কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে বেশিরভাগ মসলার দামই সহনশীল আছে। তবে ঠিকমতো আমদানি থাকলে দাম আরো কম থাকত।

শরীয়তপুর মসলা বিতানের দোকানি জসিম উদ্দিন বলেন, মসলার দাম গতবারের চেয়ে কম। এমনকি রোজায় যা দাম ছিল তাও নেই এখন। এবার তুলনামূলক ক্রেতাও কম।

দাম গত একমাসে কেমন ছিল জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন বলেন, রোজার পর দাম যা ছিল এখন তার চেয়ে একটু বেশি। তবে সেটি বেশি বলা যাবে না। ঈদ আসলে দাম একটু বাড়েই, কারণ চাহিদাও বাড়ে কিন্তু আমদানি সেভাবে থাকে না।

তবে দোকানিরা যাই বলুক ক্রেতা বলছে ভিন্ন কথা। শামসুদ্দিন নামের সোনালি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, গত ১৫ দিন আগেও এলাচ ছিল এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৭৬০ টাকা এখন সেটি কিনতে হচ্ছে ১৯০০ থেকে দুই হাজার টাকায়।

Shares