অনলাইন ডেস্কঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে মেহেদী হাসান রাব্বি (২০) নামের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ আগস্ট) রাতে অভিযুক্ত রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

পরে যৌন নিপীড়নের শিকার তরুণীর পিতার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে গ্রেফতার মেহেদী হাসানকে শনিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

জানা গেছে, নির্যাতিতা ওই তরুণীর বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার বলতলা গ্রামে। এ ঘটনায় তার পরিবার ধর্ষকের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে।

অন্যদিকে, মেহেদী হাসান রাব্বি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম যৌন নিপীড়নের শিকার তরুণীর স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, গ্রেফতার তরুণ ও যৌন হয়রানির শিকার তরুণীর বাড়ি একই গ্রামে। তরুণী গাজীপুরের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। উভয়ের বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে অভিযুক্ত তরুণ আরও দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার তরুণীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তরুণী গর্ভধারণ করলে অভিযুক্ত তরুণ তার বন্ধুদের সহায়তায় তরুণীর গর্ভপাত ঘটায়।

এদিকে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয়েই মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর উপর কথাকাটাকাটি করে। কিন্তু তরুণ বিয়ের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানালে তরুণী একটি গাড়ির নিচে ঝাঁপ দেয়। তবে, গাড়িচালকের দক্ষতায় তরুণী প্রাণে বেঁচে যায়।

স্থানীয়রা এ ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, মেয়ের বাবার অভিযোগ শনিবার মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পরে গ্রেফতার তরুণকে ওইদিন দুপুরের দিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।