আজ রবিবার , ১৪ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

ধর্ষণের আগে ৬৭ রকমের মাদক খাওয়াতেন

প্রকাশিতঃ ৫:৫৫ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫০০ বার

ডেস্ক রিপোর্টঃ শুধু চৌত্রিশ জন নাবালিকা নয়, ‘হান্টারওয়ালে আঙ্কল’ –এর ফাঁদে পড়েছিলেন আরও অনেক মহিলা। মুজফফরপুর ধর্ষণকাণ্ডে উঠে এল ব্রজেশ ঠাকুরের নাম, যাকে হোমের মেয়েরা চিনত ‘হান্টারওয়ালে আঙ্কল’ নামে। হোমে এই ব্রজেশ ঘুরে বেড়াত চাবুক হাতে। ভয়ে কাঁপত মেয়েরা।

সমাজের উপরতলাতে অবাধ গতিবিধি ছিল ব্রজেশের। তিনটি সংবাদপত্রের মালিক ব্রজেশের বিরুদ্ধে উঠেছে সীমাহীন নিষ্ঠুরতার অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের আগে জোর করে মাদক খাওয়ানো হত নাবালিকাদের। এ রকম ৬৭ রকমের মাদক মিলেছে হোম থেকে। ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়া হত নাবালিকাদের।

আগেই সামনে এসেছিল সেবা সংকল্প সমিতির হোমের কথা। মুজফফরপুরের এই হোমে শিশুকন্যা ও কিশোরীদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচারের খবরে স্তব্ধ হয়েছিল সারা দেশ। দিনের দিন দিন, রাতের পর রাত, নাবালিকাদের ওপর চলত নিরন্তর যৌন হেনস্থা, ধর্ষণ। ওযুধ খাইয়ে তাঁদের বেহুঁশ করে দেওয়া হত। কারও বয়সই আঠারোর বেশি নয়, আর ধর্ষণ করা হত নিয়মিত। ৪২ জন নাবালিকার মধ্যে ৩৪ জনের মেডিক্যাল রিপোর্টেই যৌন অত্যাচারের প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগে সবাই জানিয়েছে হোমটির চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার রবি কুমার রোশন আর ব্রজেশ ঠাকুরের নাম। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ।

এবার সামনে এল আরও একটি হোমের কথা। মুজফফরপুরের যৌনপল্লীর কাছে চতুর্ভূজ স্থান নামে আরও একটি হোম চালাত এই ব্রজেশ ঠাকুর। জুন মাসে এখান থেকেও নিখোঁজ হয়েছেন ১১ মহিলা ও ৪ নাবালিকা। মহিলাদের ‘সেবা’ করার জন্যই এই হোমটি খুলেছিল ব্রজেশ। আর সেবার নামে সবাইকেই যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হত। হোম হিসেবে তৈরি করা চতুর্ভূজ স্থান হয়ে উঠেছিল যৌনপল্লী। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ মহিলাদের বয়স কুড়ি থেকে পঞ্চাশের মধ্যে। এই হোমটি চালাতে বিহার সরকারের সমাজকল্যাণ দফতরের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যও পেয়েছিল ব্রজেশ। হোমে তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী অপারেশন থিয়েটার। ধর্ষণের পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাতও করানো হত এখানেই।

বিহারের হোমের এই নারকীয় চিত্র ও তার পিছনে থাকা প্রভাবশালী ব্রজেশ ঠাকুরের কথা প্রথম সামনে আসে টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের একটি রিপোর্টে। অত্যাচারিত মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরাই প্রথম রিপোর্টটি সামনে আনেন। সমাজের ওপরতলার মানুষ ব্রজেশের স্বচ্ছন্দ চলাফেরা ছিল রাজনৈতিক জগতের উচ্চ মহলে। নাম জড়ায় বিহারের শাসকদলের একাধিক নেতারও। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার। গ্রেফতার করা হয় দশজনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়েছে।

Shares