আজ শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

সুবর্ণগ্রামের শান্ত এইচএসসি ২০১৮-তে ঢাকা বোর্ডে প্রথম

প্রকাশিতঃ ১০:১৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৬, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৬৯ বার

আমিনুল ইসলামঃ সোনারগাঁ প্রতিনিধি( নারায়ণগঞ্জ)ঃ

ঢাকা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম স্থান অধিকার করেছে নারায়ণগঞ্জের কৃতি সন্তান আবু মুসা শান্ত৷ শান্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার ললাটি গ্রামের বাসিন্দা মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে৷ ইসমাইল হোসেন একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী আর শান্তর মা মোসা. শামীমা আক্তার স্হানীয় সুবর্ণগ্রাম স্কুলের শিক্ষিকা৷
আবু মুসা শান্ত’র জন্ম ১৯৯৯ সালে সোনারগাঁ উপজেলার ললাটি গ্রামে৷ পড়াশোনার শুরু সুবর্ণগ্রাম আইডিয়াল স্কুলে৷ শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলেই পড়েছে শান্ত।পাশ্ববর্তী সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জে,এস,সি পরীক্ষা দিয়েছে৷ এরপর নবম শ্রেণি থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের গিয়াউদ্দিন মডেল স্কুলে, সেখান থেকেই এসএসসি পাশ করে শান্ত৷ এরপর নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে।
২০১৩ সালে জেএসসি পরীক্ষায় শান্ত’র রেজাল্ট ছিল জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) সাথে ট্যালেন্টফুল বৃত্তি এবং সোনারগাঁয়ে মেধাবী তালিকায় দ্বিতীয় স্হান অর্জন করে। ২০১৬ সালে এসএসসি-তেও একই ফলাফল ছিল তার৷ এবার ২০১৮ সালে ঢাকা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছে সে।
ছেলের ফলাফল সম্পর্কে আবু মুসা শান্তর বাবা জনাব ইসমাহিল হোসেন বলছেন, এর চেয়ে খুশির সংবাদ আর কিছুই নেই।আমার ছেলের ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা।সবার কাছে আমি আমার সন্তানের জন্য দোয়া চাই।
এ ছাড়া সুবরগ্রাম স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও কবি শাহেদ কায়েস তার প্রতিক্রিয়া বলেন,শান্ত ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি-তে প্রথম হয়েছে, এই সংবাদটি শুনে আমি ভীষণ ভীষণ আবেগ আপ্লুত হয়েছি। আমি এতোটাই আপ্লুত হয়েছিলাম যে, আমার মনে হচ্ছিল তক্ষুনি চলে যাই ললাটি গ্রামে এবং শান্তকে বুকে জড়িয়ে ধরি। আমার বার বার মনে পড়ছিল কিছু দৃশ্য ও কথা। আমি যখন দেশে ছিলাম, দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি এই শিশুদের শিক্ষা নিয়ে। ললাটিতে সুবর্ণগ্রাম আইডিয়াল স্কুলসহ, সোনারগাঁয়ের আমাদের অন্যান্য স্কুলে শান্তসহ আরও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে আমি যখন উদ্বুদ্ধকরণ লেকচার (Motivational Class) দিতাম, তাদের উদ্দেশ্য করে আমি সব সময়ই বলতাম “আমার সামনে ভবিষ্যতের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, সচিব, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, দেশ বরেণ্য লেখক, কেমন আছো তোমরা?” আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত, এই দশ বছর সোনারগাঁয়ে সুবর্ণগ্রাম-এর সামাজিক কার্যক্রম-এর মধ্যে শিক্ষা বিষয়ক আপনি কি কি করেছেন? উত্তরে বলবো- আমি শুধু একটা কাজই করেছি। আমি সব সময় চেষ্টা করেছি শিশুদের মধ্যে স্বপ্ন জাগিয়ে দিতে, একবার স্বপ্নটা জাগিয়ে দিতে পারলে বাকীটা ওরা নিজেরাই করে নিতে পারবে।

শান্ত আমাদের সবার মুখ উজ্জ্বল করেছে। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও সুবর্ণগ্রাম স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আমাদের শান্ত প্রমাণ করেছে অদম্য মনোবল আর প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে জগতে সবই সম্ভব। শান্ত’র পড়াশুনা শুরু সুবর্ণগ্রাম আইডিয়াল স্কুলে, সে শিশু শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত আমাদের স্কুলে পড়েছে। শান্ত’র মা-বাবা ও অন্যান্য শিক্ষকদের অনেক অবদান আছে শিশু শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শান্তকে গড়ে তোলার পেছনে। আজকে রঘু নন্দন ঢালী স্যারের কথা মনে পড়ছে খুব, তিনি আমাদের সুবর্ণগ্রাম স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন; আজ তিনি আমাদের মাঝে নাই, থাকলে কী যে আনন্দিত হতেন। আমাদের স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক পরীক্ষিৎ চন্দ্র ঢালী এবং অন্যান্য শিক্ষক, অন্যতম পরিচালক শহীদুল ইসলাম ও স্কুলের সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে অভিনন্দন জানাই। শান্ত সুবর্ণগ্রাম স্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছে। এরপর গিয়াসুদ্দিন মডেল স্কুলে, সেখান থেকেই এসএসসি, এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। ২০১৩ সালে জেএসসি-তে শান্ত’র রেজাল্ট ছিল “গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ এন্ড ট্যালেন্টফুল স্কলারশিপ”, ২০১৬ সালে এসএসসি-তেও গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ (এন্ড ট্যালেন্টফুল স্কলারশিপ) এবং ২০১৮ সালে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা-তালিকায় প্রথম হয়েছে। শান্ত’র ওই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন।

শান্ত’র এই গৌরবোজ্জ্বল অর্জনে আমরা গর্বিত। আমাদের আরও আরও শান্ত গড়ে তুলতে হবে। সে স্বপ্ন দেখে ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দেশের সেবা করবে। শা’ন্তর জন্য আপনাদের সবার দোয়া, ভালোবাসা ও শুভ কামনা

Shares