আজ শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা হালুয়াঘাট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে হাঁস-মুরগি বিতরণ ইশ্বরগঞ্জে বালু শ্রমিক আজিজুল হত্যার আসামী মাখন আটক শিক্ষার্থীদের বেতন অর্ধেক করে দিতে হবে-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে তেলের দোকানে অগ্নিকান্ড ম্যানেজিং কমিটির, সভাপতির পক্ষ থেকে জিপিএ-৫ পেলেই মিলবে ল্যাপটপ! হালুয়াঘাটে যুগান্তর স্বজন সমাবেশে কেক কাটলেন এমপি ‘সায়েম’ শিক্ষার্থীদেরকে নীতিকথা শোনাতে হবে- ইউএনও নালিতাবাড়ী নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আসছেন ‘হাজী মোশারফ’ নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ‘হাজী মোশারফ ‘ নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হতে চান “হাজী মোশারফ”

জাপানে শিকারিদের হাতে শতাধিক অন্তঃসত্ত্বা তিমি মারা পড়ল

প্রকাশিতঃ ৪:২৯ অপরাহ্ণ | জুন ০১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫২৮ বার

আন্ত্ররজাতিক ডেস্কঃ

বিজ্ঞান গবেষণার নামে প্রতি বছর তিমি শিকার চলে জাপানে। এ বছর সেই শিকার চলাকালীন ১২২টি অন্তঃসত্ত্বা তিমি মারা পড়ল।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জাপানে চার মাস ধরে চলা ওই তিমি শিকার অভিযান শেষ হয় মার্চে। অ্যান্টার্কটিকায় চার মাসে ৩৩৩টি মিঙ্ক তিমি শিকার করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশনকে (আইডব্লিউসি) পাঠানো প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ ৩৩৩টি তিমির মাঝে ১২২টিই ছিল অন্তঃসত্ত্বা। শুধু তাই নয়, অনেকগুলো তিমি ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক।

একটি প্রাণী অধিকার সংস্থা এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাপানের তিমি শিকার অভিযানকে নিন্দা জানিয়েছে হিউমেন সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অ্যালেক্সিয়া ওয়েলবিলাভ মন্তব্য করেন, তিমি হত্যা না করেই বিজ্ঞান গবেষণা চালানো সম্ভব। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানোর কোনো দরকারই নেই।

ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশনের সদস্য জাপান। সংস্থাটি ১৯৮৬ সাল থেকে তিমি হত্যার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তারপরেও নিয়মিত প্রতি বছর তিমি হত্যা অভিযান চালায় জাপান। তারা বিজ্ঞান গবেষণাকে কারণ হিসেবে দেখায়। কিন্তু সবাই জানে, আসলে বাজারে বিক্রি করার জন্যই এসব তিমি হত্যা করা হচ্ছে। শেষমেষ এদের মাংস ডিনারের টেবিলে গিয়ে পৌঁছায়।

জাপানের ফিশারিজ এজেন্সি দাবি করে, তারা জেনেশুনে অন্তঃসত্ত্বা তিমিগুলোকে হত্যা করেনি। শিকারের দায়িত্বে থাকা ইউকি মোরিতা দাবি করেন, আইসিডব্লিউয়ের সায়েন্টিফিক কমিউনিটি জাপানের এই শিকার অভিযানের ব্যাপারে জানে। তারা এই পরিমাণে তিমি হত্যা করে যা গবেষণার জন্য জরুরি অথচ তিমির জনসংখ্যার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

২০১৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এই তিমি শিকার বন্ধের আদেশ দেয়। এক বছরের জন্য তিমি শিকার বন্ধ থাকলেও ২০১৬ সাল থেকে আবার তা শুরু করে জাপান। আর এই তিমি শিকার অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিজ্ঞা করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

জাপানে তিমি শিকার একটি প্রাচীন প্রথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সে দেশের দরিদ্র মানুষদের জন্য তিমির মাংসই ছিল আমিষের প্রধান উৎস। অবশ্য বর্তমান সময়ে তিমির মাংস খাওয়ার প্রবণতা কমে এসেছে।

Shares