হালুয়াঘাটে প্রভাষকের সাথে অভিমান করে কলেজ শিক্ষার্থীর বিষপান! থানায় মামলা
প্রকাশিতঃ ১:১৬ পূর্বাহ্ণ | জুলাই ১৯, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৮১ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ হালুয়াঘাট মহিলা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের মাহমুদা আক্তার (ছদ্ধনাম) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী একই কলেজের মাহমুদুল হক বাবুল নামে এক প্রভাষকের সাথে অভিমান করে বিষপান করে আত্বহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পূর্বেই হালুয়াঘাট থানায় উক্ত প্রভাষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিৎ করেছেন হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার।ঘটনাসুত্রে জানা যায়, বুধবার দিনব্যাপী মহিলা আদর্শ ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান চলছিলো। ওসি জানান, নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উক্ত শিক্ষক মাহমুদার সাথে খারাপ আচরণ করেন। মাহমুদাকে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। এই বিষয়টি মুঠোফোনে মাহমুদা আমাকে জানান। আমি কলেজের প্রিন্সিপালকে অবহিত করার জন্যে পরামর্শ দিই। ফোন করার সময় অনেকটা আবেগাপ্লুত ছিলো বলে তিনি জানান। পরে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার সময় কলেজের বাথরুমে গিয়ে বিষপান করে মাহমুদা। টের পেয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। জানা যায়, উক্ত কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে একই কলেজের প্রভাষক মাহমুদুল হকের সাথে পূর্ব থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।হালুয়াঘাট থানার এস আই খাইরুল ইসলাম মাহমুদার বরাত দিয়ে বলেন, গত ১৪ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষক মাহমুদুল হক আকনপাড়ার আবেদামেডামের হাফ বিল্ডিং এ নিয়ে জোরপূর্বক মাহমুদার সাথে শারিরীক মেলামেশা করে। পরে দুজনের মাঝে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি চলছিলো। কিশোরী বিয়ের চাপ দিলে মাহমুদুল সম্পর্কের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে আইনের স্বরণাপর্ণ হলে হালুয়াঘাট থানায় বিষপানের পূর্বেই মাহমুদুলকে দায়ী করে ধর্ষণের অভিযোগে (মামলা নং-৭ ) মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বলেন, আমি বিকালে ময়মনসিংহে পুলিশিং কনফারেন্সে ছিলাম। বিষপানের খবর পাওয়া মাত্রই আমি মাহমুদাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি। ডাক্তার বলেছে রোগী কিছুটা সুস্থ্য তবে আশংকামুক্ত নয়। তিনি বলেন, বিষপানের আগেই প্রভাষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। প্রভাষক মাহমুদুল হককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অবশ্যই তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। (ছবি সংগৃহীত)