মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল মেয়েরা
প্রকাশিতঃ ৪:১২ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৫, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৩৯ বার
ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ‘আজ আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি, ভেবে কষ্ট হয়, আমি আমার মেয়েদের কতই না কষ্ট করে মানুষ করেছি। স্বামী মারা যাওয়ার পর জুট মিলে, তুলার মিলে, গ্রীস কারখানায় কাজ করে লেখাপড়া করিয়েছি। দু’বেলা দু’মুঠো খাইয়েছি। জমি বিক্রি করে ওদের লাখ লাখ টাকা দিয়েছি। ভেবেছি ওরা ভাল থাক, সবই তো ওদের। পোষ্ট অফিসে যে ৭ লাখ টাকা রেখেছি তার নমিনিও দু’মেয়ে।
কিন্তু আজ ওরা আমার নামে গহনা চুরির মিথ্যা অভিযোগ করল, কোর্টে মামলা দিল, আমাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিল। আমার চরিত্র নিয়ে কুৎসা রটাতেও দ্বিধা বোধ করল না। সম্পত্তির লোভে যেভাবে দুই মেয়ে আমাকে সমাজে লাঞ্ছিত করল তাতে আমার বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয়। আজ দুপুরে কান্নাজড়িত কন্ঠে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মিরা রানী নামে এক বিধবা নারী। তিনি ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার মৃত প্রদীপ বিশ্বাসের স্ত্রী মিরা রানী। ২০১৫ সালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টে তার দু’মেয়েকে মানুষ করেছেন। ছোট মেয়েকে অনেক টাকা খরচ করে বিয়ে দিয়েছেন। স্বামীর ওয়ারেশ সুত্রে পাওয়া ২৫ শতক জমির মধ্যে বিক্রি করে মেয়েদের দিয়েছেন। এখন মাত্র সাড়ে ৮ শতক জমি আছে তার। সম্প্রতি ৬ শতক জমি বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা পোষ্ট অফিসে রেখেছেন তিনি। তার নমিনিও করেছেন তার দুই মেয়েকে। এরপরও দুই মেয়ে পুজা বিশ্বাস ও জবা বিশ্বাস আমার নামে জমি ও পোষ্ট অফিসে জমানো টাকা আত্মসাৎ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। মেয়েদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে মেয়ের জামাই বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, সুদেব বিশ্বাস, ভাসুর রমেন বিশ্বাস, দিলিপ বিশ্বাস, দেবর স্বপন বিশ্বাস, ভাসুরের ছেলে বিধান বিশ্বাস ও রাজন বিশ্বাস। সম্পত্তির লোভে মেয়েরা মিরা রানীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে আদালতে মিথ্যা চুরি মামলা দিয়েছে। দুই মেয়ে ও তাদের সম্পতি লোভী ভাসুর-দেবরদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকারের দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগি মিরা রানী। সংবাদ সম্মেলনে মিরা রানীর বোন ঝর্ণা সরকার, ভাগ্নে অমিত সরকার ও অরূপ সরকার উপস্থিত ছিলেন।