আজ শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

বেশি যৌনক্রিয়ার কারণে ধ্বংসের মুখে যে প্রাণী

প্রকাশিতঃ ৭:৩১ অপরাহ্ণ | মে ৩১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৮৩ বার

ছোট, ইঁদুরের মতো দেখতে অ্যান্টিচিনাস বেশি সময় যৌনক্রিয়া করতে পারে। এ জন্য তারা ব্যাপক পরিচিত। এমনকি তাদের যৌনক্রিয়া ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এটি তাদের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। অ্যান্টিচিনাস অনেকটা ক্যাঙারুর মতো তাদের পেটের থলিতে শাবক বহন করে।

অস্ট্রেলিয়ার সরকার অ্যান্টিচিনাসের দুটি প্রজাতিকে বিপন্নের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এরা হলো কালো লেজের ধূসর এবং সাদা মাথার অ্যান্টিচিনাস। সরকার বলছে, যৌনতাই তাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর সিএনএনের।

মিলনের ঋতুতে, বছরে কয়েক সপ্তাহ পুরুষ এবং নারী উন্মত্তের মতো এক সঙ্গী থেকে অন্য সঙ্গীর সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। কোনো বাধা-নিষেধ নেই, কেবল অবাধ যৌনতা। যত বেশি সঙ্গীবদল সম্ভব, তারা তা-ই করে।

কারও কারও কাছে এটি স্বপ্নের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু পুরুষ অ্যান্টিচিনাসের কাছে এটি ভীষণ ক্লান্তিকর। একটি গবেষক দলের নেতা এন্ড্রু বাকের জানিয়েছেন, মিলনের ঋতু শেষ হওয়ার চার পাঁচ দিন পর সাধারণত পুরুষ অ্যান্টিচিনাসগুলো মারা যায়। ২০১২ সাল থেকে অ্যান্টিচিনাস নিয়ে গবেষণা করছেন এন্ড্রু বাকের। এ পর্যন্ত তিনি এর পাঁচটির বেশি প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন।

বাকেরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যখন পুরুষ এবং স্ত্রী অ্যান্টিচিনাস অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, শুধু পুরুষদেরই টেস্টোস্টেরন নির্গত হয়। উচ্চমাত্রার টেস্টোস্টেরন অবসাদের হরমোন কর্টিসোল নির্গত হওয়া বন্ধ হতে দেয় না। শেষ পর্যন্ত এটি বিষাক্ততার মাত্রা বাড়িয়ে প্রাণীটির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নষ্ট করে ফেলে। এরপর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে প্রাণীটি মারা যায়।

প্রতিবছর মোট প্রাপ্তবয়স্ক অ্যান্টিচিনাসের অর্ধেকই মারা যায়। ফলে, এমনিতেই প্রজাতিটি বিপন্ন। তার ওপর মানুষের সৃষ্ট কারণে এটি আরও বিপন্ন হয়ে উঠছে। ঘাসময় এলাকা এবং গাছ কেটে ফেলার কারণে অ্যান্টিচিনাসের বাসস্থান হুমকির মুখে পড়ছে। উত্তর এবং পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী অ্যান্টিচিনাসগুলো ভেজা ও ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিও এদের অস্তিত্বে জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

বাকের বলছেন, রক্ষা করতে হলে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা অঞ্চল দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় এদের স্থানান্তর করতে হবে। কিন্তু গবেষকেরা এখনো নিশ্চিত নন কীভাবে তাদের ওই অঞ্চলের সঙ্গে পরিচিত করানো হবে।

অ্যান্টিচিনাস ছাড়াও আরও অনেক প্রাণী আছে, যারা প্রজাতিকে রক্ষা করতে গিয়ে যৌনতায় অংশ নিয়ে মৃত্যুকে বেছে নেয়। এর একটি হলো গার্টার সাপ।পিএনএস

Shares